Riffat Tahmin Khalil Diya – Weight Loss Inspiration

long long happy post of this 2020 year!!!

year  of 2020!!  lost 20 kg!!!

yes!!! 

reached my target for this year!  Alhamdulillah!  

from june to December!! 

7 months 20 kg lost.

my hight is 5.5,  now weight 62 kg! Alhamdulillah!

it was tough,brutal and hard journey!! 

And   Im not going to stop here! 

next year,  2021 target, in sha allah lose more  3/4 kg  which will be fat!

 2021 will be fat drop and tonning  year in sha allah!!

trust me, that will be  more harder then this losing weight! 

বরাবরই ব্যায়াম এর ব্যাপারে সচেতন সেই সাথে ভয়াবহ রকম ভোজন রসিক আমি।

খাবার আমার জীবনের সব জুড়ে।

আরিশা জন্মের পর পর বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলে ধীরে ধীরে অনেক সুন্দর ভাবে নিজেকে টোন ও ফিট করলাম। তারপর পরই আমার ২য় সন্তানের জন্ম!

২য় সন্তান এর সময়টা যেন আরো বড় দুস্বপ্ন।

শুধু আইস্ক্রিম ও স্প্রাইট ছাড়া আর কিছু খেতে পারতাম না। শারীরিক সমস্যায় ডাক্তার নিষেধের  জন্য ব্যায়াম নিষেধ। হুহু করে ওজন বেড়ে গেল..

সন্তান জন্মের পর আন্মা মাত্র ৩৫ দিন ছিলেন। এরপর দুই সন্তান,বিশাল বাড়ি, ঘর সংসার সাথে প্রচন্ড ক্ষুদায় প্রতিবেলায় গ্রোগাসে হুড়মুড় করে খাবার গেলা আমার জীবন একদম বদলায় গেল!!প্রেগ্ন্যাসির পরেও এত্ত   ওজন এর শরীরে আমার কোন কাপড় ফিট হত না।

আলমারিতে  জামা গুলার দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে থাকতাম। নিজের আগের ছবি, ব্যায়াম এর পোসট  দেখে ভাবতাম এটা কি আমি কখনো আর পারব?? 

আমার হ্যাজব্যান্ড সন্নাসী মানব  আমার মোটা – চিকন,সুন্দর – অসুন্দর,অতি ভোজন  কোন কিছুতেই যায় আসেনা। শুধু তার কথা ছিল আমি নাকি আগের মত তাড়াতাড়ি কাজ করতে পারিনা। খুব হাপিয়ে উঠি, ধীরে সব করি। আর প্রচুর নাকি চকলেট খাচ্ছি! 

রোবটের চোখে এটাই ধরা পরল!

অবস্থা যখন খুব খারাপ হল, শুরু করলাম আবারো ব্যায়াম করা।

আস্তে ধীরে বাইরে হাটতাম। ভাল লাগত না, আলসেমী লাগত। একদিন যেতাম ত কোন বাহানা  বানিয়ে দুই দিন যেতাম না। আর প্রচুর খেতাম।

এরপর জিমে যাওয়া শুরু করলাম দেড় বছর পর। অনেকেই আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেছিল!! আমার মত ফিটনেস ফ্রিক কি অবস্থা!! সেই সাথে সাহসো জুগাল!

প্রথম দুই দিন জিমে বমি করছিলাম, এরপর কয়েকদিন এমনি যেতাম আর ফিরে আসতাম।

এরপর খুব আস্তে আস্তে ব্যায়াম শুরু করলাম যখন ছেলের বয়স ৬ মাস!ওজন ৭৮/৭৯ ছিল..

যেই আস্তে আস্তে ব্যায়ামটা শুরু করলাম পুরা দুনিয়া বন্ধ হয়ে গেল!

শুরু হল লকডাঊন! কি অসহ্য ব্যাপার!

আমার মেয়ে আরিশার তখন মাত্র স্কুল শুরু,  ৫ বছরে বাচ্চা। সারাদিন বাসায় কিচিরমিচির!  অজস্র কথা,প্রশ্ন সাথে আরিব এর সব কাজ।

আমার বরের  কোন লকডাউন হয় নাই সে করোনা লকডাউন  সময়ের প্রতিটা দিন নিয়মিতভাবেই অফিস যায়।

এইভাবে শুরু হয় রমজান মাস! 

সেহরি খেতে হয় তাই সারারাত আমি ও আমার দুই বাচ্চা নিয়ে অনিদ্রা কাটত। ইফতার ও ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত নন্সটপ খাওয়া এবং কোন ব্যায়াম নাই।

দুই বাচ্চা নিয়ে আমি একা ঘরবন্দি ডিপ্রেশন,  মোটা,  খাওয়া কন্ট্রোল কর‍্তে না পারা, মন মেজাজ খুব খারাপ হয়ে থাকত..হরমোনাল সমস্যা ধরা পরে, প্রায়ই জ্বর, গা কাপে,ব্যথা! ডাক্তার কোন পাত্তা দেয়না। তাদের ভাষায় এইগুলা আফটার প্রেগ্ন্যাসি সব নরমাল!!

রমজানের শেষের দিকে এক মাঝরাতে খুব ছোট্ট কারনে আরিশা খুব মাইর দিছিলাম যেটা আমি কখনই করিনাই। আমার মেয়েটা খুব লক্ষী মা শা আল্লাহ।

খুব জোড়ে চিৎকার করে বলছিলাম গেট আউট! গেট আউট ইউ বোথ! আরিব তখন মাত্র ৮/৯ মাসের বাচ্চা।

আরিশা ছলছল ভয়ার্ত চোখে আমার দিকে তাকায় ছিল।

আমাকে খুব আস্তে আস্তে বলছিল,”মা আমি তোমার কাছে ঘুমাই একদম সাউন্ড করব না! “

একদম খুব নীরবে ফুপায়ে কাদছিল আমার মেয়েটা আমার পাশে শুয়ে! যেন আওয়াজ না আসে আমার কানে!!

অহ! সেই মুহুর্ত! একদম সেই মুহুর্তটা আমার ভিতরে যেন আঘাত করল খুব।।

দুইটাকে বুকে নিয়ে আদর করলাম,সরি বললাম।

মনে হল,আমি ত অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি!

এটা ত আমি না! 

আমার কিছুনা কিছু করতেই হবে..

ঠিক করলাম,  ওজন কমাব।

যেহেতু সারা রাত ঘুম হত না, ঈদের আগের রাতে সারা রাত মজার রান্না করলাম। ঈদের সারাদিন শুধুই খেলাম.. নো ঘুম!  একদম ৩০ ঘন্টা না ঘুমিয়ে ঈদের রাত্র  রাত ৯ টা শরীর ভেংে ঘুম আসছিল। ওই এক ঘুমেই পরের ভোরে ঘুম ভেংে গেল।

ফজর নামাজ পরে, ওজন্ মাপলাম ৮২ কেজি।  এক কাপ কালা  কফি খেয়ে ভোর ৬ টায়  রাস্তায় দিলাম দোউড়।

পুরা দেড় ঘন্টা জগিং করেছিলাম সেদিন। বাসায় চলে আসলাম ৮ টার মাঝে। আমার বর চলে গেল অফিসে!

আমি ফুরফুরা মন নিয়ে সঠিক খাওয়া শুরু করলাম। লোকার্ব, ভাত কম খাওয়া এরপর ভাত বাদ দেয়া..

এইভাবে আস্তে আস্তে ওজন কমতে থাকল.. এইভাবে লক ডাউনে ভোরে ব্যায়াম শুরু করলাম কখনো বাইরে  বা ঘরে বাচ্চারা ঘুমিয়ে থাকে যখন.. 

আমারো আগ্রহ জিদ বাড়তে থাকল!

ব্যায়াম / ওজন কমানোই আমার ধ্যানজ্ঞান!  যে কোন ওজন এর চেয়ে প্রেগ্ন্যাসির ওজন এবং সেটা যদি ২য়,৩য় সন্তান এর সময় হয় সেটা খুব খুব কষ্টের! কিন্ত লেগে থাকতেই হবে!

টার্গেট ২০২০ সালে ২০ কেজি! 

সেই আমি আবারো পুরাতন ফ্রমে ফিরে যেতে থাকলাম। এখন আবারো আমি ১২মিনিটে এক মাইল দৌড় ২ হাজারটা জাম্প রোপ, ২ হাজারটা সিড়ি ভাংতে পারি!! 

জিমে অন্যরা আমাকে কিলার / বিস্ট ডাকে!!

উলটা পালটা যে খাই নাই তা না, যেদিন খেতাম পরের দিন নিজেকে পেনাল্টি দিতাম। আরো ব্রুটাল ব্যায়াম।

অবশেষে এই বিজয়ের মাসে আমার ছোট্ট বিজয় হল!

আমার শরীর থেকে ২০ কেজি ওজন ঝরে গেল আলহামদুলিল্লাহ!

এবং আমি  ড্রেস সাইজ ১৪ থেকে ৮ এ চলে আসলাম! ডাবল এক্সেল থেকে মিডিয়াম।

কিন্ত খেলা এখনো বাকি আছে! ওজন ত কমিয়েছি, কিন্ত ২য় প্রেগ্ন্যাসির সময় এবসের আশে পাশে, শরীরে বাড়তি ফ্যাট এখনো আছে।

তাই আগামী বছরের টার্গেট মাত্র ৩/৪ কেজি।কিন্ত ৫.৫ হাইটে ৬২ কেজি পার্ফেক্ট সেখনে মাত্র ১ কেজি একদম ফ্যাট কমানো ভয়াবহ কঠিন ব্যাপার! 

কিন্ত নেশা এমন ব্যাপার!  যত কঠিনই হোক করতেই হবে!

আমার নেশা হল ব্যায়াম করা!

ব্যায়াম আমাকে আবারো নতুন জীবন দিয়েছে!

ব্যায়াম আমার কাছে প্রাথনার মত।

আমার কাছে ব্যায়াম  ঠিক ততটাই পবিত্র যতটা একজন যাজকের কাছে তার ধর্ম! 

আমি নিজেকে ফাকি দিতে পারিনা.. নিজের সাথে প্রতারণা করতে পারিনা। কারন, আমি আমার নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসি!

আমি যদি পারি যেকেউ পারবে! 

শুধু একদিন শুরু করতে হবে!.

আরিশা জন্মের পর,আমার ৩০ এর পর আমি প্রতি বছর কিছুনা কিছু টার্গেট করি, নতুন কিছু করি।

১৬ সালে স্কাই ডাইভ দিয়েছি ও সাতার শিখলাম

১৭ সালে গাড়ি চালানো শিখলাম

১৮ সালে বাড়ি কিনলাম, প্রেগন্যান্ট হলাম।

১৯ সালে ২য় সন্তান হল

২০ সালে ২০ কেজি কমালাম!

এইভাবেই নিজেকে ভালবাসি নিজেকে নিয়ে বাচি!

About the Author:

Developer Herwill

Developer Herwill